ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামিকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ম ম সিদ্দিক মিয়াকে। মামলার কপি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মামলার অভিযোগ
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ফরিদপুর-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে আসামি ম ম সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে একদল বিক্ষোভকারী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সুয়াদী এলাকায় সিসিবিএল পেট্রোল পাম্পের সামনে সমবেত হন। তারা রাস্তায় বড় বড় গাছ ফেলে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
পুলিশের বাধা অমান্য করে তারা আরও মারমুখি অবস্থান নেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মৌখিক সতর্কতা দিয়ে ধাওয়া করলে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যান। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের বক্তব্য
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন,
“৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও এক থেকে দেড়শ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এ মামলার প্রধান আসামি ম ম সিদ্দিক মিয়াকে শনিবার রাতে নগরকান্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পটভূমি
জাতীয় সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে গেজেট প্রকাশের পর থেকেই মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ শুরু হয়। এতে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল ব্যাহত হয়।