ভাঙ্গায় ইউনিয়ন বিভক্তি ইস্যুতে উত্তাল আন্দোলন, উপজেলা ও নির্বাচন অফিসে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ভাঙ্গায় তীব্র উত্তেজনা: মহাসড়ক-রেল অবরোধ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, নির্বাচন অফিসে আগুননির্বাচন কমিশনের গেজেটে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২-এ যুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতারা বিক্ষোভ শুরুর পর সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভাঙচুর-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে; ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সম্প্রতি প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের গেজেটে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ-অবরোধ চালাচ্ছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কসহ রেলপথ অবরোধ করলে দক্ষিণাঞ্চলভিত্তিক পরিবহন ও ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে; পরে সংঘর্ষে ভাঙ্গা থানায় হামলার অভিযোগ ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের খবর আসে। পুলিশ গতকাল ৯০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছিলো এবং আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

পটভূমি — কেন আন্দোলন হলো:

ইসি-গেজেট: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে; তাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে — এই সিদ্ধান্তই স্থানীয়দের রাজনৈতিক পরিচয় ও ভোটভিত্তিক স্বার্থে পরিবর্তন আনবে বলে প্রতিবাদের সূত্রপাত। স্থানীয় উদ্বেগ: স্থানীয় নেতারা বলছেন, ইউনিয়ন কেটে নিলে ভোটার ও পরিষেবা-সম্পর্কিত বহু বাস্তব অসুবিধি হবে; তাই পুনর্বহালের দাবি করে তারা প্রচারণা, রিট ও স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন। একে কেন্দ্র করে সর্বক্ষেত্রে আন্দোলন সংগঠন করা হয়।

আজকের ঘটনা-ক্রম (টাইমলাইনে)

1. সকাল — অবরোধ: মধ্যভাগে সকাল থেকে পুখুরিয়া, মুনসুরাবাদ, সুয়াদী, বাসস্ট্যান্ড ও রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে অভিযান শুরুর ফলে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল রুটে যানবাহন ও ট্রেন আটকে পড়ে; যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদে বলা হয়েছে।

2. আগ্রাসন-দফা: দুপুরে কিছু পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে; জনতা ভাঙ্গা থানার দিকে যেতে চাইলে থানা সংলগ্ন এলাকায় সংগঠিত ঝামেলা বৃদ্ধির খবর আসে। কিছু সংবাদসূত্রে থানায় হামলা ও পুলিশের একটি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। (পুলিশ-মামলা ও স্থানীয়দের বর্ণনা)। 3. নির্বাচন অফিসে আগুন — আন্দোলনকারীরা ও স্থানীয় কিছু সোশ্যাল-মিডিয়া পোস্টে নির্বাচন অফিসে আগুন দেয়ার দাবি করা হলেও, বড় মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও ওই অগ্নিসংযোগ-ঘটনার ছবি/ভিডিও বা অফিস-পর্যবেক্ষণের স্বতন্ত্র ভেরিফিকেশন প্রকাশ করে এটিকে নিশ্চিত করেনি — তাই এটি বর্তমানে “স্থানীয় দাবি/অপ্রমাণিত প্রতিবেদন” হিসেবে দেখা উচিত। (স্থানীয় পোস্ট/ভিডিও উদ্ধৃতির উদাহরণ আছে)।

4. পুলিশি প্রতিক্রিয়া ও গ্রেপ্তার: পুলিশি সূত্রে প্রধান সমন্বয়ক (আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান) ম. ম. সিদ্দিক মিয়াকে (সমন্বয়ক) গোয়েন্দা/ডিবি গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে; ভাঙচুর-অবরোধ ঘটনার অভিযোগে ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০০–১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাও করা হয়েছে। প্রশাসন ও ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। প্রধান সমন্বয়ক: স্থানীয় উদ্যোগ ও সংবাদ সূত্রগুলো বলছে আন্দোলন-কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক (ম. ম. সিদ্দিক মিয়া/সিদ্দিকি মঞ্জি) — তিনি অবরোধের ঘোষণা করেন এবং পরে ডিবি-র হাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশ ও কয়েকটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম এই দায়-নাম উল্লেখ করেছে। সাংগঠনিক অংশগ্রহণ: প্রতিবাদে স্থানীয় রাজনৈতিক দল, এলাকাবাসী ও ‘সর্বদলীয় ঐক্য/সমন্বয় কমিটি’ অংশ নেয়— স্থানীয় বিএনপি ও কিছু স্বতন্ত্র নেতা-কর্মীর উপস্থিতির সংবাদ রিপোর্ট করা হয়েছে। (স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বক্তব্যসহ)। প্রশাসন-পুলিশের ভাবমূর্তি ও আইনি পদক্ষেপভাঙ্গা থানা ও জেলা প্রশাসন মামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের পথে যাচ্ছে; পুলিশ জানিয়েছে জনজীবন কষ্ট সহ্য করা যাচ্ছে না, তাই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ইউএনও ও জেলার পক্ষ থেকে আলোচনায় আনার চেষ্টা চলছে। অবশিষ্ট মন্তব্য (ভেরিফিকেশন ও সতর্কতা)যা এখনও নিশ্চিত নয়: “নির্বাচন অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে”— এই অংশটি বর্তমানে স্থানীয় দাবির পর্যায়ে আছে; বড় সংবাদমাধ্যমগুলো (প্রধান পত্রিকাগুলো) এ ঘটনার স্বতন্ত্র ভেরিফিকেশন বা ছবির ভিত্তিতে নিশ্চিত প্রতিবেদন দেয়নি। অনলাইন-ভিডিও/ফেসবুক-পোস্ট আছে, কিন্তু যাচাই হওয়া সূত্র উল্লেখযোগ্য। তাই রিপোর্টে এটি দাবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থান (সংক্ষেপে)পুলিশ ও প্রশাসন মাঠে-মাঠে উপস্থিতি বাড়িয়েছে; কিছু স্থানে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে, কিন্তু উত্তেজনা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেকোনো সময় ফিরতে পারে — স্থানীয় নেতারা সূত্র দিয়ে পুনর্বহাল বা আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছেন। মামলা ও গ্রেপ্তারে পরিস্থিতি এখন আইনি পর্যায়ে চলে গেছে।